Sunday, December 30, 2012

আমার হৃদয়ে ঢেউ

আমার হৃদয়ে ঢেউ নিলো না কেউ
ভালোবাসার দামে
দয়াল দিও অধম পুন জনম
এইনা মাটির ধামে
আমি বাঁধবো সদাই মনের লাটাই
প্রেম সঁপেছি যার নামে।।

আমি করলাম যার ঘর মাস ও বছর
একই ছাদের নিচে
হায় মনের আশা সব দূরাশা
ভাবনা হলো মিছে
আমার সাধের মিলন ব্যর্থ স্বপন
কর্মবিধি বামে।।

আমি ধরলাম যার হাত দিবস ও রাত
পথের চলার ধারে
হায় সঙ্গের সাথী করলো ক্ষতি
ভাঙলো হৃদয়টারে
আমার পোড়কপালে নিদানকালে
কষ্ট দিবাযামে।।

শেখ জলিল       ১৭.১২.২০১২

Saturday, December 22, 2012

আমি চাইলাম যারে হইলো নারে

আমি চাইলাম যারে হইলো নারে
দিব্যচোখে দেখা
পুষলাম শুধু হৃদ মাঝারে
ভবের মাঝে একা।।

আমার যৌবন গেলো মৌবন গেলো
যারই সোহাগ চেয়ে
সে জন রইলো দূর আকাশে
তারারই ফুল হয়ে
আমি কেমনে মিলাই পূর্ণিমা রাত
জোস্না চাঁদের রেখা।।

আমার সম্বল গেলো কম্বল গেলো
দারুণ শীতের মাঘে
জ্বললো খরা সাধের ভিটায়
চৈতেরই নিদাঘে
আমি কেমনে কাটাই বিধির বিধি
এই কপালের লেখা।।

শেখ জলিল     ২২.১২.২০১২

Monday, December 17, 2012

আমার নাই রে কোনো ঘর

আমার নাই রে কোনো ঘর
বুকে বাউলের অন্তর
পরকে যেমন করি আপন
আপন করি পর।।

আমার নাই রে দুঃখ
নাই রে কাঁদন
একতারাতে সুখের রোদন
বাজে দিবারাতি
পথের মাঝে পথের রথী
হয় রে চোখের জ্যোতি-
আমার যাত্রা নিরন্তর।।

আমার নাই রে মানিক
নাই রে রতন
হৃদ মাঝারে করবো যতন
প্রেমরাঙা মণি
মনের মাঝে মনরাগিনী
জাত-কূল হরণী-
আমার কষ্ট  জীবনভর।।

শেখ জলিল   ১৪.১২.২০১২


Monday, November 19, 2012

হায় রে সোনার দেশ

আমার মায়ের আদর ছাইড়া আইলাম
হায় রে সোনার দেশ
বাঁচার তরে খুঁইজা পাইলাম
এই প্রবাসী বেশ-
আমার যায় না কষ্ট জীবন নষ্ট
দুঃখের নাই রে শেষ।।

হাতের কাছে ছিলো স্বজন
চিন্তা ছিলো না
এই প্রবাসে যন্ত্র-জীবন
সময় দিলো না
কেমনে দেখি মায়েরই মুখ
হাজার সোহাগ শান্তিরই বুক
স্বপ্ন-সুখ-আবেশ।।

বুকের মাঝে ছিলো আশা
গল্প সূচনা
ভালোবাসার মায়ায় ঘেরা
কল্প রচনা
কেমনে পাবো নীড়ছোঁয়া প্রেম
অমূল্য সেই সুখ চারু হেম
মগ্ন-সুর-অশেষ।।

শেখ জলিল   ১৯.১১.২০১২

Wednesday, November 7, 2012

তুমি আইসো বন্ধু

তুমি আইসো বন্ধু খাইও মুখে
বাটাভরা পান
তোমার তরে হৃদয় উদাস
আকুলও পরান
তুমি আইসো সোনার চান
খাইও বাটাভরা পান।।

এই মাটির গাছে লাউ ধইরাছে
বড়োই সোহাগিনী
লাউয়ের পিছে ঘুরছে সবাই
ভাবছে কলংকিনী
তুমি লাউয়ের হইও মান
গাইও ডুগডুগিতে গান।।

ঐ মাঠের ধারে বংশী বাজায়
শ্যামনগরের কালা
বুকের মাঝে ছটফটানি
ভাঙ্গে মনের তালা
তুমি রাধার হইও প্রাণ
যাইও বৃন্দাবনের ধাম।।

শেখ জলিল    ০৪.১১.২০১২

Saturday, November 3, 2012

জোস্না জোয়ারে ভাসা নদীর তীরে

জোস্না জোয়ারে ভাসা নদীর তীরে
ঘাসফুল ভিজে যায় শিশিরে
তুমি আসো বারবার শুধুই ফিরে
পুরনো স্মৃতির সেই আঙিনা ঘিরে।।

খেয়াঘাট বটতলা তেমনি আছে
সেই তুমি নেই শুধু আমার পাশে
হাতে হাত ধরে চলা  চুপকথা চুপ
থেমে গেছে গানে সুর জীবনের রূপ
পাবো কি পাবো সেই হাসি মুখ ফিরে
হারিয়েছি যাকে শত হেলার ভিড়ে।।

বন্ধুর সাথে আড়ি প্রেম কাতরে
সেই তুমি গেলে তবু অচেনা করে
কেটে গেছে কতো দিন ঘাটের খেয়ায়
একবার দেখতে যে শুধুই তোমায়
পাবো কি পাবো সেই দিনগুলো ফিরে
হারিয়েছি যাকে চেনা সুখের নীড়ে।।

শেখ জলিল       ৩০.১০.২০১২

Thursday, October 25, 2012

মনটা কঠিন পাথর তো নয়

মনটা কঠিন পাথর তো নয়
সকল আঘাত সইবে
পাহাড় সমান ব্যথার বোঝা
একলা একা বইবে।
তুমি ভুল করে যাবে
বুকের মন ভেঙে দেবে
ভাবছো কেন তবু এ মন
তোমার কথাই কইবে?।

তুমি অন্তরে উদাস
সাধের প্রেমকে করো নাশ
অমাবশ্যার চাঁদ হয়ে যাও
বছর বারো মাস।
যখন পূর্ণিমা হবে
হঠাৎ সুখ অনুভবে
হারা শশীর জোস্না কী আর
তোমার তরেই রইবে?।

তুমি উল্লাসে কাতর
আপন সন্ধানে বিভোর
কারো ব্যথায় হৃদয় তোমার
খুললো নারে দোর।
যখন সব কিছু যাবে
শুধুই শূন্যতা খাবে
সুখের সাথী সেদিন কী আর
তোমার দুঃখ বইবে? ।

শেখ জলিল                ২৫.১০.২০১২

Sunday, October 21, 2012

পূবাল হাওয়া যাও বলে যাও

পূবাল হাওয়া যাও বলে যাও
কোন্ দেশে তার ঘর
যার আকাশে স্বপ্ন ভাসে
ছড়িয়ে তেপান্তর
আমি ইচ্ছে পালে ঢেউয়ের তালে
ভাসবো নিরন্তর।।

দুলবে তরী ঝড়ের দোলায়
একলা পথে সামনে চলায়
তবু সাঁঝ-প্রভাতে বৈঠা হাতে
ঘুরবো দেশান্তর।।

শূন্য বুকে বিফল আশা
থাকবে তবু ভালোবাসা
জানি মিলবে একা তাহার দেখা
যাত্রা শেষের পর।।

শেখ জলিল   ২১. ১০.১১২

Friday, October 12, 2012

বেঁচে থাকা এক বাস্তবতা

বেঁচে থাকা এক বাস্তবতা
কিছু ডাল-ভাত-রুটি
ঘুমাও তুমি কাব্য-কথা
কবিতা দিলাম ছুটি।।

জাগিও না আর ঘুম-নিশীথে
যদিবা জোস্না ঝরে
জানো কি তখন ক্ষুধার জ্বালায়
কতো জনের পেট পোড়ে
দুখী মানবতা গুমরে মরে
ধরাতে লুটোপুটি।।

তাকিও না আর সুখ-মিলনে
যদিবা সোহাগ বাড়ে
জানো কি তখন গ্রেনেড-গুলি
কতো শিশুর প্রাণ কাড়ে
পঞ্চম রাষ্ট্র শক্তিধরে
শান্তির চাপে টুটি।।

শেখ জলিল   ১২.১০.২০১২

Wednesday, October 10, 2012

আমি পারবো না গড়ে যেতে

আমি পারবো না গড়ে যেতে
পৃথিবীর সেরা সৌধের রূপ
থাকলে পাশে তুমিই  শুধু
নিয়ে সব কষ্ট-দুখ
এই শীর্ণ কুটিরে খুঁজে পাবো
শত তাজমহলের সুখ।।

ঝঞ্ঝা এলে লড়বো যেমন
বিজয়েতে হাসবো
কান্না-হাসির জোয়ার এলে
শুধুই ভালোবাসবো
দ্বন্দ্ব ও দ্বিধায় একই মতে
মেলাবো এই বুকে বুক।।

আঘাত এলে সইবো যেমন
মিলনেতে ভাসবো
দুঃখ-সুখের দোলায় দুলে
মনের ব্যথা নাশবো
ছন্দ ও সুরে একই গানে
ভরবো চুপকথা চুপ।।

শেখ জলিল    ১০.১০.২০১২

Saturday, October 6, 2012

ঘুমের রাজ্যে গড়েছি আমার

ঘুমের রাজ্যে গড়েছি আমার
স্বপ্ন নামের বাড়ি
বাস্তবতার কঠিন চাওয়া
বেঁধেছে ভীষণ আড়ি
তুমি যেন সেই চেনা রূপকথা
অসীমে দিয়েছো পাড়ি।।

নেই কোনো পথ তোমাকে দেখার
চোখের পাখিরা খোঁজে বারবার
শূন্য আকাশ রিক্ত হৃদয়
শুক বিনা কাঁদে সারি।।

নেই কোনো সুখ এ মনে আমার
ক্লান্ত প্রহরে জমেছে আঁধার
কষ্ট পাঁজরে স্মৃতির পাহাড়
শুয়ে থাকে আড়াআড়ি।।

শেখ জলিল     ০৫.১০.২০১২

Wednesday, October 3, 2012

চাঁদনী রাতে তোমার চোখে

চাঁদনী রাতে তোমার চোখে
খেলবে জোস্না হাসি
ঝিঁঝির গানে পাখির ডাকে
বাজবে মনের বাঁশি
পুরনো এক ডাক বাংলোতে
বাঁধবো বাসর ঘর
ভালোবাসায় দেবো পাড়ি
সুখের তেপান্তর।।

থাকবে না ঘুম কারও চোখে
ভাঙবে স্বপ্ন বাঁধ
হুইস্কি আর কফির ঘ্রাণে
কাটবে সারা রাত
পালংক আর সোফা পাবে
উষ্ণতায় আদর।।

ভাববো তোমায় পাহাড় কন্যা
আমায় আদিবাসী
নগর ছেড়ে দূরারণ্যে
থাকবো পরবাসী
ছড়িয়ে দেবো বনের বুকে
জুম্ম চাষ চাদর।।

শেখ জলিল  ০৩.১০.২০১২

Wednesday, August 29, 2012

বেকায়দা প্রেমকাব্য

১.
ক্লাস ফাঁকিতে যেদিন গেলাম
বাগমারার ঐ বাসায়
নিউ বিল্ডিং-এর গলি ধরে
বুকভরা সব আশায়
আব্বু-আম্মু দু’জন সেদিন
ছিলো বাসার বাইরে
একলা পেয়ে তোমার ঘরে
মন করে তাই-নাইরে
যেই জড়িয়ে তন্বীদেহ
ছুঁয়েছি ঠোঁট-গাল
বোনটি তোমার হঠাৎ এসে
করলো জঞ্জাল!

২.
ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে
নলখাগড়ার চরে
তোমার সাথে হেঁটে যেতে
মন যে কেমন করে
বালুর চরা নদীর পানি
পেরিয়ে গেলাম বনে
সবার চোখের আড়াল হয়ে
গোপনে গোপনে
আকাশ বাতাস সাক্ষী রেখে
কাটলো যখন লজ্জা
ভাবছি বসে মধুর হবে
নদীর ধারের সজ্জা
মাটি ফুঁড়ে সামনে খাঁড়া
কদাকার সেই লোকটা
বললো হেসে- কাম করবাইন
আগে ফালান ট্যাক্সটা!

৩.
সেদিন রানুর অফিস ছিলো
তোমার ছিলো ছুটি
একলা ঘরে আমরা দু’জন
বাঁধছি নতুন জুটি
কলেজ পড়া তাগড়া মেয়ে
বয়স খুবই অল্প
বন্ধ ঘরে প্রেমাবেগে
কত্তো রসের গল্প
হঠাৎ করে গেটে টোকা
রানু আমার বাড়ি
সেই থেকে যে রানুর প্রেমে
হলো ছাড়াছাড়ি! 

২২.০৮.২০০৮

Thursday, August 9, 2012

বন্ধু আছো তুমি

বন্ধু ছিলে তুমি স্বর্ণালী শৈশবে
বন্ধু ছিলে তুমি কৈশোরে অনুভবে
বন্ধু ছিলে তুমি দুরন্ত যৌবনে
অবিরাম ছুটে চলা জীবনের প্রয়োজনে
বন্ধু আছো তুমি প্রৌঢ়ের এই ক্ষণে।।

ধুলোয় মাখামাখি ন্যাংটো পুটো
স্মৃতিগুলো অমলিন আজও অক্ষত
নদীজলে ঝাঁপাঝাঁপি খালবিলে ডুব
কানামাছি ভোঁ ভোঁ লুকোচুরি চুপ
বন্ধু আছো তুমি ফেলে আসা দিন সনে।।

বৃষ্টির চোখে চোখ আলতো ছোঁয়া
ভাবনাতে দুজনার কল্পধোঁয়া
উদ্দাম ঝড়ো হাওয়া টুপটাপ জল
ঝরে পড়ে মনবনে ধারা অবিরল
বন্ধু আছো তুমি ভালোলাগা অনুরণে।।

শেখ জলিল        ০২.০৮.২০১২

Wednesday, August 1, 2012

দোলে অঙ্গ দোলে রে

দোলে অঙ্গ দোলে রে
আড়-বাতাসে দোলে
ঝোলে ঝুমকা ঝোলে রে
কানের লতায় ঝোলে
সুরের তালে নাচ-বিহঙ্গী
নাচে খেমটা বোলে।।

গায়ে দেখো কাঞ্চা সোনা
ঝরিয়া পড়ে
রূপের ছটায় রূপবতী
পাগলও করে
আমার প্রাণে সুরের নেশা
দোলে মাতন দোলে।।

চোখে দেখো হরিণ কালো
কাজলও মায়া
জোস্না হাসি চাঁদ-বদনে
ফেলেছে ছায়া
আমার মনে চন্দ্রগ্রহণ
তোলে কাঁপন তোলে।।

শেখ জলিল     ৩১.০৭.২০১২

Saturday, July 28, 2012

এডমন্টনে ঝরছে বাদল

এডমন্টনে ঝরছে বাদল
তুখোড় ধারার বৃষ্টি
মনের পাখি খুঁজছে সতেজ
কদম ফুলের দৃষ্টি।।

মেঘবতী মেঘের কন্যা
কার টানেতে ছুটছে
বজ্র-আলোয় রূপের ঝলক
স্মৃতির বারুদ ফুটছে
বুক-হৃদয়ে প্রেমবিদ্যুৎ
বাড়ছে অনাসৃষ্টি।।

ভাসছে স্মৃতি দূর অতীতে
যখন ছিলে কাছে
আকাশ-পাখি যুগলবন্দী
হিজল তমাল পাশে
বুনোফুলে বাঁধা খোঁপার
দস্যি মেয়ে মিষ্টি।।

এই প্রবাসে কদমও নেই
হিজলও নেই ধারে
বৃষ্টি এলেই দিচ্ছে উঁকি
ভাবনা বারে বারে
সুখের ছবি চোখের মাঝে
কাব্য-কথা-কৃষ্টি।।

এখনও কি ভাবনা জাগে
তেমনি নিবিড় ছোঁয়া
মন আকাশে রংধনু রং
ইচ্ছে বৃষ্টি ধোয়া
পড়লে চোখে দুচোখ আবার
ফেরাবে কি দৃষ্টি।।

শেখ জলিল   ২৮.০৭.২০১২

Sunday, July 22, 2012

শুধু তোমারই আশায়

শুধু তোমারই আশায়
দূর বনে নীলিমায় ডুবে যাবে চাঁদ
আকাশের তারাগুলো একে একে পড়বে খসে
আঁধারে হারিয়ে যাবে স্বপ্নীল পৃথিবী
তবুও হবে না শেষ তোমারই প্রতীক্ষা
ঘুমহীন চোখে এই রাতের বাসর।।

কবে যে করেছে চলা শুরু হৃদয়ের নদী
ঝিরিঝিরি ঝরনাধারা অন্তরে অবিরল
মনবনে ফুটেছে গোলাপ-চম্পা-বেলী
হাসনাহেনার ঘ্রাণে মাতাল ভ্রমরকূল
উড়ে উড়ে চলে গেছে তোমারই আকাশে
মানেনি বাধার ওই মেঘের চাদর।।

হয়তো তোমাকে পাবো খুঁজে বিরহের শেষে
নয়তো কখনো নয় যাপিত জীবনে আর
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাবে যে দু’চোখ আঁধারে মুদে
অনন্ত আশার টানে হৃদয় গভীরে প্রাণ
ছুটে যাবে কোনো এক অজানা গোপনে
ধুলিঝড়ে ঢেকে এই বুকের পাথর।।

কথা: শেখ জলিল

Friday, July 20, 2012

চাঁদের মেয়ে

চাঁদমুখ বরণ চাঁদের মেয়ে
পরেছো চাঁদের চুড়ি
আমার পৃথিবী আঁধারেতে ভাসে
যেন অমানিশাপুরী।
কেমনে দেবো অতলান্তিক পাড়ি
উথাল পাথাল সব ঢেউয়ের সারি
জ্যোৎস্নার আলোয় পথ খুঁজে দেবে
নেই সে উত্তরসূরী!।

দীঘল জ্যোৎস্নায় ভালোই ছিলাম
পূর্ণিমাতে নাও ভাসিয়েছিলাম
শুক্লপক্ষ শেষ হ'য়ে যাবে
বলেনিতো ঘুমপরী
কৃষ্ণপক্ষে হারিয়ে যায় ঐ
যেন চাঁদের অপ্সরী!।

কেমনে পাবো যে ঠিকানা তোমার
দু'চোখে আঁধার নূড়ি
চাঁদমুখ বরণ চাঁদের মেয়ে
সরাও চাঁদের বুড়ি।
সামনে বিশাল সব বাধার পাহাড়
সমুদ্র নিক্ না  আড়ি
চাঁদ সওদাগর তুলেছে এই পাল
দেবেই সে পথ পাড়ি!।

কথা: শেখ জলিল

Tuesday, July 17, 2012

ঘোলের স্বাদে মেটে নারে

ঘোলের স্বাদে মেটে নারে
খাঁটি দুধের আশ
বাঁশবাগানে ফোটে না ফুল
বছর-বারো মাস
আমি কেমন করে মিটাই জ্বালা
প্রেমের হা-হুতাশ।।

কানায় যেমন দেখে নারে
রূপের ছবি রং
বেঘোর মাতাল বোঝে নারে
নাচের মুদ্রা ঢং
ও হায় নিঠুর কালা শোনে নাতো
বুকের দীর্ঘশ্বাস।।

বয়স কালে থাকে নারে
মাথা কালো চুল
চৈত্র মাসে ভরে নারে
শুকনা নদীর কূল
ও হায় চাড়াল-সাধু করে নাতো
এক ঘরেতে বাস।।

শেখ জলিল         ১৭.০৭.২০১২


Saturday, July 14, 2012

মানুষ চিনতে কষ্ট হয় খুব

গায়ক পাখিরা আছে এ পৃথিবীর সর্বত্র
যেখানেই যাই ভোরবেলা ঘুম ভেঙে গেলে
বিছানায় শুয়েও শুনি তাদের কলগান, কিচিরমিচির।
যেমন মানুষ আছে এ বিশ্বের আনাচে কানাচে
আছে হাসি-কান্না, মান-অভিমান, বিরহ ও প্রেম
পাখিদেরও আছে মুক্ত ডানা উড়বার অভিজ্ঞান
বনে ও বাদাড়ে, ঝোপে-ঝাড়ে, গাছে গাছে গান।

ধরিত্রীরও আছে কমনীয় রূপ সব খানে
সবুজে-শ্যামলে, পাহাড়ে-পর্বতে, মরুতে-সাগরে
সর্বত্র রূপের ছড়াছড়ি ঋতুতে ঋতুতে, মাসের পর মাস
কখনও বৃষ্টি-বন্যা, কখনও শান্ত রূপ, কথনও ঝঞ্ঝা-প্রলয়
প্রকৃতির কোল জুড়ে আসে শীত, বসন্ত বা গ্রীষ্মের বাহার।

যেখানেই যাই চিনি ফুল-পাখি, সুফলা প্রকৃতি
গ্রীষ্মের খরা, শীতের হিম কিংবা বসন্তের রং
চিনতে কষ্ট হয় না ধরণীকে বছরের পর অনেক বছর
শুধু বদলে যায় মানুষ মেধা ও মননে, ভৌগলিক পরিবর্তনে
বদলে যায় গায়ের রং, জাতি কিংবা ধর্ম রাষ্ট্রের কারণে
বহুরূপী মানুষ চিনতে কষ্ট হয় খুব
কষ্ট হয় এই মনে প্রতিদিনে প্রতিক্ষণে।

শেখ জলিল                                     ১৩.০৭.২০১২




Wednesday, July 11, 2012

তুমি ছিলে কিশোরী

তুমি ছিলে কিশোরী- মনটা উড়ু
ডানপিটে আমি ছিনু- নাটের গুরু
ছিঁড়ে ফেলে বেড়াজাল
ভরা স্রোতে তুলে পাল
আমাদের ভেসে চলা হয়ে গেলো শুরু।।

রমনার বটতলা, বৈশাখী মেলা
চুপিসারে চলছিলো প্রেম প্রেম খেলা
অভিসারে দুজনারই বুক দুরু দুরু।।

তারপর লোকালয়ে যতো কানাকানি
ট্রাফিক তোমার বাবা হলো সাবধানী
স্টপ সিগনাল মেরে কুচকালো ভুরু।।

কেটে গেছে বহুদিন আর নেই দেখা
বেঁধেছো সুখের ঘর নাকি আছো একা
স্মৃতিরা তোমার আজো ছায়া দেবদারু।।

শেখ জলিল        ১০.০৭.২০১২

Friday, June 29, 2012

নিষিদ্ধ আফিম

১. 
টু-উ বলে ডেকে ওঠে নিশাচর পাখি 
আড়মোড়া ভাঙে দুই আধবোঁজা আঁখি।  
২. 
নপুংসক সময় ও ঘরে বেঘোরে ঘুমায়
দরজার ওপাশ তোলে মৃদু ফিসফাস 
জোস্নাস্নানে নিমগ্ন আবক্ষ ছায়ামূর্তি শুধু 
ধনুকের ছিলার মতোন বেঁকে যায়। 
৩. 
ভাঙে ভুল, ভাঙে আড়ি 
কাঁপে নখ, কাঁপে নাড়ি 
আঁধারের নীরবতা খুলে জিপলক 
অকাতরে পান করে নিষিদ্ধ আফিম।  


শেখ জলিল ৩০.০৬.২০১২

Wednesday, June 27, 2012

চলোনা বসি আজ

চলোনা বসি আজ দুজনে মিলে
ছায়াঘেরা বাংলোর সেই টেবিলে
হারিয়েছি যে ক্ষণ সেই সন্ধ্যায়।।

পড়বার ছল করে বইখাতা ফেলে
অশান্ত হৃদয়ের ডানা মেলে
হারাতাম যেমনি করে
চলো যাই সেই নীলিমায়।।

চলোনা আজ যাই সব কিছু ভুলে
তেমনি আগের মতো হৃদয় খুলে
চোখে চোখে কথা বলি
হারানো প্রেমের ভাষায়।।

কথা ও সুর: শেখ জলিল

Sunday, June 24, 2012

হাওয়ায় উড়ছে দেখো

হাওয়ায় উড়ছে দেখো মাছের বহর
পাখিরা করছে খেলা জলের ভেতর
খেয়ে আস্ত চাঁদ এক দামড়া বাছুর
রসনা সুখেতে আজ তুলছে ঢেকুর।।

বানরের গলেতে পরিয়ে মালা
অন্ধ সে হৃদয়টা করো উজালা
যদিবা চাড়ালে বাঁধে গানে মিঠে সুর
আমি কেন লড়বো সে সুরেতে অসুর।।

অমাবশ্যাতে যদি চন্দ্রগ্রহণ
পূর্ণিমা তারে কি করবে বারণ
যদিবা ঝড়েতে কাঁপে ধ্যানী মহীশুর
আমি কেন সাধবো সুখ যক্ষের পুর।।

শেখ জলিল     ২৪.০৬.২০১২

Saturday, June 23, 2012

দেশের গান


দেশের গান
১.
স্বাধীনতা বলো কী দেবো তোমার নাম
সুনীল আকাশ, শুভ্র কপোত
নাকি যুদ্ধপাগল যুবকের পকেটে প্রেয়সীর নীল খাম।।

তুমি মায়ের চোখের অশ্র“ নাকি বোনের শাড়ীর আঁচল
স্বামীহারা শত বিধবার চোখে মুছে যাওয়া কালো কাঁজল
পিতার উদার বুকটি জুড়ে না হয় ঠিকানা দিলাম।।

তুমি ভাইয়ের বুকের রক্ত নাকি বন্ধুর হাতের মশাল
স্বাধীন স্বদেশ মুক্ত মাটিতে স্মৃতির মিনার সুবিশাল
তোমার অমর নামটি নিয়ে দীপ্ত শপথ নিলাম।।

কথা: শেখ জলিল  মোবাইল: 17807082363

২.
আমার মন কান্দেরে, আমার প্রাণ কান্দেরে
কতোদিন দেখি না গাঁয়ের শ্যামল মুখটিরে
কতোদিন খুঁজি না মায়ের স্নেহের বুকটিরে।।

ছোট্টবেলার খেলার সাথী আমার সোনার গাঁ
সেই গাঁয়েরই ঘরে ছিলো প্রাণের প্রিয় মা
মা যে আমার হারিয়ে গেছে
সেই ছোট গ্রাম তেমনি আছে
কতো স্মৃতি ঘিরে।।

ঘুরছি কতো দেশ-বিদেশে জানা-অজানা
আমার গাঁয়ের মতো সবুজ কোথাও দেখি না
যতোই দেখি নতুন কিছু
ছাড়ে না গাঁ আমার পিছু
শত সুখের ভিড়ে।।

কথা: শেখ জলিল  মোবাইল:17807082363

3.
এই সেই মাটি, এই সেই দেশ
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ
দেখেছি যে স্বপ্ন একাত্তরে
গড়বো সে ভিত্তি শক্ত করে
মিলিত প্রাণের আয়োজনে
মৈত্রী ও সাম্যের বন্ধনে।।

(দেখো) তিন যুগ গেছে আরো যায় যুগ
শত কোটি প্রাণ আজ আছে উন্মুখ
(চায়) শান্তি ও সুখের বিশালতা
একুশ শতকের এই বারতা
গড়বো সব কিছু প্রয়োজনে
সমবেত জীবনের স্পন্দনে।।

(দেখো) শহর আর গ্রামে কতো বিভেদ
ঘুচাতে হবে আজ সেই ভেদাভেদ
(সেই) মাটি ও মানুষের কাছে গিয়ে
হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
চলবে অঙ্গীকার উন্নয়নে
ফসল ও সবুজের নন্দনে।।

কথা: শেখ জলিল মোবাইল:17807082363

Wednesday, June 20, 2012

দূর পাহাড়ে বাঁশি বাজে

দূর পাহাড়ে বাঁশি বাজে নিঝুম নিরালায়
শ্যামা মেয়ে নেচে চলে জলের কিনারায়
ঝরনা তালে পায়ে যে তার নূপুর বেজে যায়।।

জলতরঙ্গ সুরে যে মন করে উতলা
মহুয়া বনে ডাকে পাখি পেয়ে একেলা
সুরের তালে মাদল বাজে মনের মোহনায়।।

বাঁশির সুরে পাগল করে মনউদাসী
দখিন হাওয়া জড়ায় গায়ে বনরূপসী
জানি নাতো বসত যে তার কোন্ পাহাড়ি গাঁয়।।

কথা: শেখ জলিল ফোন: ১৭৮০৪৩৩১৭০১

Monday, June 18, 2012

সেই ঘুড়ি উড়ানোর দিন


সেই ঘুড়ি উড়ানোর দিন
মার্বেল টিপ, বোশেখী মেলা রঙিন
মঞ্জু, তোকে মনে পড়ে
আজ এতোকাল পর কোথায় আছিস, কতো দূরে।।


দাঁড়িয়াবান্ধা আর হাডুডু খেলা
ছিপ বড়শি কিংবা পলো জাল ফেলা
সারাটা বিকেল কেটে যেতো খুব
ডোবাতে মাছ ধ'রে।।

মীরার সাথে আর হয় নাকো দেখা
রোকেয়া- ভারতীর কপালের লেখা
নিয়েছে মেনে সব কিছু তারা
সাজানো সংসারে।।


শেখ জলিল                   ১০.০৩.২০১২

Thursday, June 14, 2012

মন খুলে নাও

মন খুলে নাও আকাশ দেখে
রও কেন আনমনা
এক আকাশে অনেক আকাশ
যায় না তারে গোণা।।

চাঁদমুখেতে রূপ যে আছে
আছে আঁধার কালো
মেঘের আড়ে গ্রহ-তারা
করে ঝলোমলো
দুচোখ মেলে খুঁজতে পারো
অমূল্য সব সোনা।।

মন আকাশে সুখ যে আছে
আছে দুখের ছায়া
খুশীর আলোয় দুচোখ জ্বলে
ঝরে প্রেমের মায়া
প্রেম বিলিয়ে ভাঙতে পারো
মনের কাঙালপনা।।

শেখ জলিল    ১৩.০৬.২০১২

Sunday, June 10, 2012

এসো প্রত্যয়ে প্রতিদিন

এসো প্রত্যয়ে প্রতিদিন-
এই প্রিয় চেনা দেশটা গড়ি
যার কাছে রয়েছে জন্মের ঋণ
সেই ঋণ শোধবার চেষ্টা করি।।

যার কাদা-জলে বেড়েছে দেহ
ভুলতে কি পারো কোনোদিনও কেহ?
যার বুকে গড়েছি ভালোবাসা
যার বুকে বেঁধেছি স্বপ্ন-আশা
সেই মাটি মাকে গড়তে আরও
শেষ চেষ্টার অবশেষটা করি।।

যার স্বাধীনতা রক্তে কেনা
ভুলতে কি পারো তার মুক্তিসেনা
যার বুকে ঘুমিয়ে লাখো শহীদ
যার বুকে রয়েছে গর্বের ভিত
সেই সেরা দেশকে বাসতে ভালো
দেশপ্রেমিকের গড়া রেশটা ধরি।।

শেখ জলিল       ০৭.০৬.২০১২

Sunday, June 3, 2012

আমার হইলো শেষে যাওয়া

যাইতে ছিলাম বন্ধুর বাড়ি
চইড়া সাধের গাড়ি
চলতি পথে বন্ধ ইঞ্জিন
যাত্রা হইলো আড়ি।
আমার হইলো শেষে যাওয়া
উদলা দেহে মাটির ঘরে
লাগলো শীতল হাওয়া।।

সাজাই ছিলাম মনের ঘরে
ইচ্ছা পারিপাটি
সবাই আমার রইলো দূরে
স্বপ্ন হলো মাটি
সেই পাবো পাবো করেও তারে
মিললো নাকো পাওয়া।।

সবাই মিলে যতন করে
রাখলো আমায় একা
শেষ বিদায়ে একজনারই
হইলো নাকো দেখা
এই পারঘাটাতে আমার শুধু
মিছেই তরী বাওয়া।।

শেখ জলিল    ২৯.০৫.২০১২

Monday, May 28, 2012

তুমি কি জানো এই স্বাধীনতা

তুমি কি জানো এই স্বাধীনতা কতো রক্ত দিয়ে কেনা
তুমি কি মানো এই স্বাধীনতা নিয়েছে কেড়ে মুখ চেনা
হারিয়েছি পিতা, হারিয়েছি মাতা, শহীদ হয়েছে ভাই
দিয়েছে জীবন দেশের তরে আজও তাদের ভুলি নাই।।

করেছে লুণ্ঠন পাকহানাদারে পুড়েছে সোনার দেশ
হারিয়ে সম্ভ্রম বোনেরা নিয়েছে বীরাঙ্গনার বেশ
করেছে যুদ্ধ মুক্তিসেনারা পরাজয় মানে নাই
কতো সাহসী যুদ্ধগাথা রয়ে গেছে অজানাই।।

ভুলে ভেদাভেদ হাতে রাখো হাত যাচ্ছে কেটে দিন
গড়তে হবে স্বদেশভূমি হিংসাকে করে বিলীন
স্বাধীনতার স্বপ্নক্ষুধা আজও বুকে মরে নাই
একাত্তরের সেই জনতা চলো সব ঘুরে দাঁড়াই।।

শেখ জলিল            ২৮.০৫.২০১২

Sunday, May 27, 2012

ও বন্ধু

ও বন্ধু, মনে রেখো আমায়
একদিন আমিও ছিলাম
ভরা কোনো আড্ডায়, ব্যস্ত কাজে
আনন্দ-অবসরে সবার মাঝে
তোমাদের এই প্রিয় চেনা ঠিকানায়।।

আমিও করেছি ভাগ দুঃখ-সুখ
সবার মুখে চেয়ে হয়ে উন্মুখ
বেসেছে ভালো কেউ, এসেছে বিরহ ঢেউ
ভেঙেছে বেদনাভার এই পোড়া বুক
তবুও ছিলাম আমি বন্ধু তোমার
জীবনের প্রয়োজনে প্রাণের মেলায়।।

এঁকেছি কতোনা চোখে স্বপ্ন-দিন
গানের কথা জুড়ে বাজিয়েছি বীণ
বেঁধেছি প্রেমে ঘর, দেখেছি সহসা ঝড়
হারিয়ে গিয়েছে সুখ কল্প-রঙিন
তবুও গেয়েছি গান আসর জুড়ে
তোমাদের বিনোদনে সুরের ধারায়।।

শেখ জলিল        ২৫.০৫.২০১২

Tuesday, May 22, 2012

তুমি শুনতে কি পাও

তুমি শুনতে কি পাও-
বাতাসের ক্রন্দনে হৃদয় কাঁপন?
শুনতে কি পাও-
ঝরণার উদ্দামে সুখের যাপন?
শুধু তোমাকেই ভালোবাসি তাই
চিরদিন কাছে পেতে চাই।।

আমি নদী হয়ে চলছি পথে
দূরে মোহনায়
উজাড় করে দিতে ভালোবাসা
কানায় কানায়
সাগর সঙ্গমে পাবো তোমার দেখা
একদিন জানি সহসাই।।

আমি ঝড় হয়ে বইছি ছুটে
মেঘের ডানায়
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবো একদিন
তোমার ডাঙায়
সুখের বর্ষণে হবে পূর্ণ আশা
হৃদয়ের সব চাওয়াটাই।।


শেখ জলিল      ২২.০৫.২০১২

Tuesday, May 8, 2012

বাবা তোমাকে মনে পড়ে

বাবা তোমাকে মনে পড়ে-
কতো ক্লান্ত প্রহরে- কাজের অবসরে
ছোট্টবেলার স্মৃতিরা যখন
মনে এসে ভর করে।।

ভোরবেলা ইশকুলে যাওয়া
অথবা দুপুরে একসাথে খাওয়া
গল্পকথার সন্ধ্যারা এসে
এখনও হাত ধরে।।

বটতলা সেই চৈতী মেলা
পাড়াটা চড়িয়ে ডাংগুলি, বৈচি খেলা
দুষ্টুমিতে তোমারই শাসন
এখনও প্রাণ ডরে।।

শেখ জলিল     ০৮.০৫.২০১২

Friday, April 20, 2012

এই নিঃসঙ্গ প্রবাসে

এই নিঃসঙ্গ প্রবাসে কতো দুঃসহ দিন
জীবনের বসন্ত হলো বিলীন
হলো না দেখা শুধু তোমার সাথে
স্মৃতিগুলো ওড়ে নীল ঘাস ফড়িং।।

হলো না যাওয়া আর স্বর্ণালী দিনে
বাজিয়ে সুখের গান হৃদয়ের বীণে
ছিঁড়ে গেছে মালা সেই বিনিসূতার
করে দিয়ে সব কিছু প্রেমচিহ্নহীন।।

দিলে না তোমার আর কোনো ঠিকানা
রইলে অপর হয়ে দূরে অজানা
খুঁজে ফিরি আজও সেই অনন্ত সুখ
দিয়েছিলে তুমি এসে বাধাবন্ধহীন।।

শেখ জলিল         ২০.০৪.২০১২

Wednesday, April 18, 2012

দিনে দিনে পৃথিবীটা যাচ্ছে বদলে

দিনে দিনে পৃথিবীটা যাচ্ছে বদলে
বদলে যাচ্ছে মানুষ
তবুও মানুষ ঐ আকাশে ওড়ায়
অধরা স্বপ্নের ফানুস
ভুলে যাবে একদিন তুমিও জানি
আমার এ ভাবনা তবু তোমাতে বেহুঁশ।।

একদিন ঘূণপোকা কাটবে হৃদয়
ভালোলাগা স্মৃতিগুলো হবে বিষময়
আসবে ঝড়, ভাঙবে ঘর
ফাঁপানো প্রেমের বেলুন দমকা হাওয়ায়
ফেটে যাবে ঠুস।।

একদিন যন্ত্রণা ডাকবে বিষাদ
অনাবিল সুখগুলো হবে অবসাদ
আসবে ক্ষণ, ভাঙবে মন
লুকানো বিরহ আগুন হৃদয় কোণায়
জ্বলে যাবে ফুঁস।।

শেখ জলিল          ২৯.০৩.২০১২