Wednesday, February 2, 2011

ঘটনা পরম্পরা

'যা কিছু করলে মহান
ফিরে পাবেই প্রতিদান'

স্কটল্যান্ডের একজন দরিদ্র কৃষক, নাম তার ফ্লেমিং। সে তার সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য খুব খাটছিলো। একদিন যখন সে কাজে ব্যস্ত নিকটস্থ ডোবা থেকে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পেলো। সে তার হাতের কাজ ফেলে দৌড়ে গেলো ডোবার দিকে। দেখলো- একটি ছোট্ট বালক চোরা কাদায় কোমড় অবধি ডুবে গেছে। বাঁচার  জন্য সে খুব চেষ্টা করছে।  ফ্লেমিং তাড়াতাড়ি বালকটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করলো। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে সেদিন বেঁচে গেলো সে।

পরদিন ফ্লেমিং-এর বাড়ির সামনে এক দামি গাড়ি এসে থামল। বর্ণাঢ্য পোশাক পরা এক বিত্তবান লোক গাড়ি থেকে নামলেন। স্কটিশ কৃষককে বললেন- যে বালকের আপনি প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন আমি তার বাবা। আমার ছেলেকে জীবনদানের জন্য আপনাকে পুরস্কার দিতে চাই।
কৃষক তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে হাত নেড়ে বললেন- ধন্যবাদ, যা করেছি তার বিনিময়ে আমি কিছু গ্রহণ করতে পারি না।

এই সময় কৃষকের ছেলে ঘরের ভিতর থেকে বের হয়ে এলো। ধনাঢ্য ব্যক্তি বললেন- আপনার ছেলে?
-হ্যাঁ, স্কটিশ কৃষক গর্বভরে বললেন।
- আপনার নিকট আমার একটি আবদার আছে। আপনার ছেলেকে আমি আমি পড়াশুনা করাতে চাই। আমার ছেলে যেমন সুযোগ পাচ্ছে ও তেমনই পাবে। যদি এ ছেলে তার বাবার মতো হয় ভবিষ্যতে সে যোগ্য মানুষ হবেই। তখন আমরা দুজনে গর্ব করতে পারবো।
অবশেষে কৃষক তাঁর প্রস্তাব মেনে নিলো।

কৃষক ফ্লেমিং-এর ছেলে সবচেয়ে ভালো স্কুলে লেখাপড়া করতে থাকলো। এরপর সে সেন্ট মেরি'স মেডিক্যাল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হলো। এক সময় সে পেনিসিলিন আবিষ্কার করলো। পৃথিবী বিখ্যাত এই ছেলের নাম আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।

ক'বছর পরের ঘটনা। সেই ধনাঢ্য ব্যক্তির ছেলে (যার প্রাণ বাঁচিয়েছিলো কৃষক ফ্লেমিং চোরা কাদা থেকে) একদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলো। কিন্তু এবারে কৃষকপুত্রের পেনিসিলিন প্রাণ বাঁচালো তার।

গল্পের ধনাঢ্য ব্যক্তির নাম লর্ড রানডলফ চার্চিল। আর তাঁর ছেলের নাম উইনস্টোন চার্চিল।

(মূল লেখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।  লেখকের নাম পাওয়া যায়নি।)

জানুয়ারি ৩১, ২০১১